(মো: সারোয়ার জাহান)হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে ২১ অক্টোবর রাতে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। তার সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টাটাস দিয়েছেন বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) থেকে অবসরে যাওয়া আলোচিত রেলমন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব কবীর মিলন।
আলোচিত মাহাবুব কবীর মিলন লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে তার দলীয় কর্মী, সশস্ত্র বাহিনী থেকে শুরু করে আমলা, পুলিশ, সরকারি-বেসরকারি প্রশাসনের সকল স্তরে একটি ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছিল যে, আওয়ামী লীগ প্রায় অমর। দুনিয়ার কোনো শক্তি নেই এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামায়। তাদের প্রধানমন্ত্রীও অমর। মৃত্যু নেই তার।’
‘চোখের পলকে যে স্বপ্ন তারা দেখত, সেটি ছিল ২০৪১ সাল পর্যন্ত টানা প্রথম পর্বের ক্ষমতা। এরপর হয়তো আসতো ২০৭০ সাল পর্যন্ত। এই ন্যারেটিভের লোভ সামলাতে পারেননি সুমন সাহেবের মতো অনেকেই। গা ভাসিয়ে দিয়েছিলেন তারা। সামান্য একটু দলদাস হতে পারলেই দীর্ঘ বহু বছর ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, অর্থ, তথাকথিত মান মর্যাদা নিয়ে আরাম আয়েশে জীবন কাটিয়ে দেওয়া যাবে।’
তিনি লিখেছেন, ‘একজন দলদাস আমলা সচিব হওয়ার পর মনে করতেন, চাকরি শেষ হলে এক্সটেনশন। এক্সটেনশন শেষ হলে তিন বা পাঁচ বছরের জন্য সংস্থা বা দপ্তর চেয়ারম্যান কিংবা কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের চুক্তি ভিত্তিক পদ। চল্লিশ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারলে একজন আমলা কেন একটি দলের ডেডিকেটেড কর্মী হবে না! কে পোছে আম পাবলিককে। কেন সে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দেবে!’
সাবেক এই অতিরিক্ত সচিব আরো লিখেছেন, ‘এই হাল ছিল সরকারের সকল পর্যায়ে। প্রজাতন্ত্রের সৎ এবং দক্ষ কর্মচারীরা ছিল কোণঠাসা এবং অসহায়। প্রতিবাদ করলেই শাস্তি। বাকিরা ছিল দলের, জনগণের নয়। দম্ভ আর অহংকারের এই ন্যারেটিভের মাধ্যমে সৃষ্ট জুলুমের পাল্লা এত ভারী হয়ে গিয়েছিল যে, চোখের পলকে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়লো সব। অধরা থেকে গেল অমর হওয়ার বাসনা। দুঃখিত সুমন সাহেব।’
Leave a Reply